১.
কবিতা আমার
রতন নস্কর
ডায়মন্ড হারবার, দঃ২৪পরগনা
কবিতা আমার ইচ্ছে ডানার আকাশ
নীলদিগন্তে পরিযায়ী মেঘমালা
কবিতা আমার দিনযাপনের অঙ্গ
হৃদয়মাঝে সাজানো বরণডালা।
কবিতা আমার সুখ দুঃখের সাথী
ব্যথা বেদনা প্রতিবাদের ভাষা
কবিতা আমার একলা থাকার ক্ষন
তৃষিত ভুবনে গোপন ভালো বাসা।
কবিতা আমার ভাবনার বনবীথি
হাতধরে থাকা খেয়ালী নতুন বর
কবিতা আমার স্বপ্ন আমার শক্তি
দিবানিশি যার সাথে বা৺ধি ঘর।
____________________________
২.
বাঁচার চুলোয়
বদরুদ্দোজা শেখু (বহরমপুর -কলকাতা)
মন খারাপ ব'সে থাকি, বুড়োবুড়ি অপেক্ষায় আছি
কখন আসবে ফেরি সব্জিওয়ালা,দুটো ডালভাত
সব্জি কিছু দরকার । মৃত্যু কাছে ? হয়তো কাছাকাছি,
তবু আশা উসকায়--- কেটে যাবে করোনার রাত ।
চারিদিকে লকডাউন, তবু শুনি এখন বাজারে
ঠাসাঠাসি ভিড় হচ্ছে, পুলিশের নাকের ডগায়
সব চলছে খোলাখুলি , দেবালয় দরগা মাজারে
যাওয়ার উৎসাহ বেড়ে গেছে, মন্ত্রস্তোত্র বিজ্ঞানে ভোগায় ।
যতোটুকু সাধ্য আছে তাই নিয়ে জড়োসড়ো থাকি
স্বাস্থ্য-সচেতনা যদি অসাবধানেই দ্যায় ফাঁকি
যা হবে তখন তা কি অপদায় ? দুটো বুড়োবুড়ি
নিত্যদিন মুখোমুখি সুখীদুখী সখ্যতায় পুড়ি
স্মৃতির দরোজাগুলো ঝুল ঝাড়ে মাধবী ধূলোয়,
দুটো ডালভাত সব্জি অকুলান বাঁচার চুলোয়।
____________________________________________
জীবন যাত্রা
সুমন রঞ্জন সেন
(নন্দপুর,করিমগঞ্জ,আসাম)
মাঝে মাঝে বিপর্যয় আসা খুব ভালো
তখন মুখোশ মানব,আত্মীয়
সব চেনা হয়ে যায়
তবে ভালো
দারুণ যে অভিজ্ঞতা মিলে
নভ যত কালো হোক
হয় চাঁদ নয় রবি
কালো দূর করে ফেলে
দৌলতে শতক লোভ সত্যি
চঞ্চল হৃদয়
ভোরে রবি দেখার আশায়
মন ছটফট করে ওঠে
শত কলি
ভিন্ন রঙ্গে,ভিন্ন গন্ধে
সময়ে দেখবে প্রস্ফুটিত দৃশ্য
হয়তো আনন্দ, নয়তো বেদনাময়
যখন উদার রবির অন্তর
অসহ্য যাতনা মননে কেবল
চাঁদ পানে চিত্ত থাকে
ধীরে ধীরে দিবা চলে
হাসিখুশি মন
চাঁদের আলোয় নতুন আকাশ
অপরূপ দৃশ্য
মুগ্ধ চিত্ত
ক্ষণিকে বদল হৃদয় আকাশ
রবি আলো ভীষণ সুন্দর
রাত থেকে দিবা ভালো
দিবা থেকে রাত ভালো
ভাবে চিত্ত ধনে আশ
লোভে মতি শান্তি নাশ
রঙ্গমঞ্চে রঙ্গখেলা
চলছে জীবনযাত্রা।
_________________________________
প্রেম
সঞ্জয় গোস্বামী (কালাইন, কাছাড়,অসম)
ভালোবাসা দেখা যায়না,
শুধু বুঝাযায় গো প্রিয়া।
বলো কি করে বুঝাই,বার বার শুধাই,
তুমি কেন বুঝনা।
চঞ্চল চিত্ত্বের এই বায়না,
তুমার প্রেম যদি পায়না,
রইবেনা এই বুকে শ্বাস।
হয়ে যাব সবুজ শাখা,বৃষ্টি হয়ে ঝরনা,
হয়ে যাব রঙ্গিন বসন্ত,কোকিল হয়ে ডাকনা,
রইবনা আর আসপাস,
দিয়ে যাব প্রেমের বনবাস।
বাতাস হয়ে সুগন্ধ ছড়াব, ভোরের কলি যদি হয়,
সরগম হয়ে যাব,গানের সুর যদি হয়,
হয়ে যাব প্রেমের পরিভাষা,
দিয়ে যাবে প্রেমের অধিবাস।
প্রেম আমার দীঘির জল, তুমি জল পদ্ধ,
তুমি আমার নীলনয়ন, যাকে ছাড়া আমি অন্ধ।
খুলে দিব মনের আকাশ,হয়ে যাবে প্রেমের প্রকাশ।
__________________________________________
প্রভুর কৃপা ছাড়া
মাহবুব-এ-খোদা
নাটোর,বাংলাদেশ
চারিদিকে আহাজারি
হারিয়ে গেছে সুখ,
স্বজনহারা ব্যথা নিয়ে
ভেঙে পড়ছে বুক।
একের পর এক গজব নাজিল
এই দুনিয়ার তরে,
ক্ষুধায় কাতর গরিব-দুখীর
প্রাণটা ছটফট করে।
করোনা আর ঘূর্ণিঝড়ে
সবাই দিশেহারা,
পথ দেখি না বাঁচার মতো
প্রভুর কৃপা ছাড়া।
___________________________________________
স্বাস্থ্য বিধি
বিপ্লব গোস্বামী (করিমগঞ্জ -আসাম)
জল পাণ করবে খালি পেটে
যথা সম্ভব চলবে হেঁটে।
ঊষা কালে করবে যোগ
কখনো হবে না রোগ।
খাবার আগে পরে হাত ধোবে
আট ঘন্টার অধিক না শোবে।
শাক সবজি খাবে বেশি
মাছ মাংস খাবে দেশী।
খাবার খাবে নিয়মমাফিক
স্নান,ঘুম রাখবে ঠিক।
ছোট রাখবে চুল,নখ
থাকবে সদা নিরোগ।
রাগারাগি করবে কম
খুশি থেকো হরদম।
__________________________________________
বোধের অভাব
শ্যামল বণিক অঞ্জন
নকলা,বাংলাদেশ
কর্তা থেকে কর্মচারী লজ্জা নেইতো কারো,
চেয়ে দ্যাখো দম্ভ কতো চতুর পিয়নটারো!
কথা কাজের নেই কোন মিল
গলদ ভরা সব,
উন্নয়নের তুলছে ধোঁয়া
বদলে দেবার রব!
ষোলাআনা ব্যর্থ হয়েও
দাঁত দেখিয়ে হাসে,
ভাষণ দিতে আসন নিতে
ওরা ভালোবাসে!
পদের পদাবলি গাওয়া
ওদের একটা স্বভাব,
কর্মবিমুখ কর্তা বাবুর
বোধের বড্ড অভাব!
______________________________________
কাছে এলে ঝুঁকি
মোঃ হাসু কবির (বাংলাদেশ)
কাছে এলে ঝুঁকি বাড়ে
দূরে নিরাপদ
আগে ভাই শুনি নাই
এমন আপদ।
দেহে এলে হুমকিও
রয় প্রাণ নাশে
জানাজানি হলে কেউ
থাকে না তো পাশে।
জীবন্ত লাশ হয়
একা ঘরে বাঁচে
সেবা হীন কাটে ক্ষণ
রোগটা ছোঁয়াচে।
এই রোগে মারা গেলে
কেউ তো ধরেনা
ধরবে যে মরবে সে
নাম যে করোনা।
দূরে দূরে থাকলেই
নিরাপদ অতি
দূরে দূরে থেকে সবে
দূর করি ক্ষতি।
_____________________________________
স্মৃতি
পুনম কর (ধর্মনগর- উত্তর ত্রিপুরা)
স্মৃতিগুলো কাঁদায় আমায়
স্বপ্নগুলো হাঁসে।
স্মৃতিগুলো ডাকছে তোমায়,
অনেক ভালোবেসে।
স্মৃতি ঘেরা সাজানো মন
আজও তোমায় খোঁজে,
আজও মন ডাকছে তোমায় ,
অনেক ভালোবেসে।
___________________________________________
বাসায় থাকি
এস কে সোহানুর রহমান সোহাগ (বাংলাদেশ)
নিজে ভালো থাকি করোনা থেকে প্রিয়জনকে ভাল ও সুস্থ রাখি
,
তার জন্য আমরা সবাই অবশ্যই বাসায় থাকি।।।।
করোনার প্রকোপ বাড়ছে আরও
মরছে মানুষ কত,
যত দিন যাচ্ছে করোনা ভয়াবহ হচ্ছে তত।।। বাংলাদেশে আজ অনেক ভয়ঙ্কর করোনার পরিস্থিতি, করোনার জন্য থেমে যাচ্ছে সবকিছুর গতি।।।।
সব জায়গায় এখন শুধুই লকডাউন,
ঘরে থেকে ভালোভাবে
সব নিয়ম কানুন মানুন।।।।
করোনা আজ বিশ্বের আতঙ্ক সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মহামারী,
বাসায় থেকে আমরা সব ভয় কে জয় দিয়ে প্রতিহত করি।।।।
বড় ছোট সবাই বাসায় থাকি,
নিজে ভালো থাকি
অন্য কেও ভালো রাখি।।।
কেউ করছে না তো কাউকে এখন সহযোগিতা
বাংলাদেশে চলছে এখন
নিয়ম ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা।।।
সবাই বাসায় থাকি বাসায় থাকি,
তাহলেই তো করোনা থেকে নিজে বাঁচতে পারি
প্রিয়জন কেও বাঁচাতে পারি।।।
.___________________________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন