শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০

শব্দের ভেলা বর্ষ ২ সংখ্যা ৩

এ সংখ্যায় রয়েছে 

কবি মো: আলমগীর হোসেন, কবি রাবাত রেজা নূর , কবি শ্যামল বণিক অঞ্জন,  কবি অসীম কুমার মন্ডল, কবি গোলাম অাযম,  কবি হাসু কবির,  কবি  পলাশ দাস,  কবি আশরাফ আলী চারু, কবি সদীপ্তা বিশ্বাস দত্ত,  কবি অনুভব অধিকারী,  কবি  এম বদরুল ইসলাম প্যাটেল,  কবি  কাকলী দাস ঘোষ, কবি মানবেশ মিদ্দার,  কবি মোহাম্মদ তানজিম ইসলাম জিহাদ,  কবি জয়নুল ইসলাম বড়ভূইয়া, কবি আশুতোষ দাস, কবি  সুজা মজুমদার ও কবি রফিক উদ্দিন লস্কর।    

রোজার মাস
                  -মো: আলমগীর হোসেন

রোজা কর, নামাজ পড়ো
ওহে মুসলমান,
কিয়ামতের কঠিন দিনে
পাবে এর প্রতিদান।

রোজার মাসে
বেশি বেশি যাকাত ফেতরা দাও,
এই পৃথিবীতে ধনী গরীব
বিবেদ একটু কমাও।

এই সমাজে অনেক
ধনাঢ্যশালী ব্যক্তিদ্বয় আছে,
সাহায্যের জন্য গরীব লোক
যায় তাদের কাছে ।

তাই আশে পাশের গরীবদের
খাদ্য বস্ত্র কর দান,
এতে করে আল্লাহ-তাআলা
তোমার বাড়াবে মান-সম্মান।

লেখক পরিচিতি:-
মো: আলমগীর হোসেন,
লাঙ্গলমোড়া, সলঙ্গা, সিরাজগঞ্জ।
মোবাইল: ০১৭৪০-৭১৪৬৫৬

[] বিধিই কেবল জানে! []

==== শ্যামল বণিক অঞ্জন=======

জনমনে দেখছি নাতো আতঙ্কেরই রেশ

উৎসবের আমেজে দিন কাটছে যেন বেশ!

হাটবাজারে দোকানপাটে উপচে পড়া ভীড়,

ইচ্ছে মতো কেনাকাটায় সকলেই অস্থীর!

অতি লোভী ব্যবসায়ীদের এসেছে আজ দিন,

নাচছে অতি লাভের মোহে তাক্ ধীনা ধীনধীন!

মানছে না কেউ সতর্কতা কোন বিধি আইন,

ফিরতে ঘরে কিনতে টিকিট ধরছে লম্বা লাইন।

সামাজিক দুরত্বটার বুঝেছেনা কেউ মানে,

কি আছে হায় কপালে তা বিধিই কেবল জানে!

কোলা ব্যাঙের ডাক
গোলাম অাযম

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
ডাকে কোলা ব্যাঙ,
খোকা ধরে অাছাড় মেরে
ভেঙে দিলো ঠ্যাং।

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
বর্ষাকালে ডাকে,
ছাদনা তলায় বসে দেখি
শুনে কতো লোকে।

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
বার্তা খুশির দেয়,
ধান কেটে সব কৃষকেরা
ফসল তুলে নেয়।

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ
নবান্নের দেয় বার্তা,
পল্লী গায়ের ঘরে ঘরে
পালন করে কর্তা।
গোলাম অাযম,পিতা:অাসকার অালী,মাতা:নাসিমা বেগম,গ্রাম:হরিপুর, ডাকঘর:মুশরিভূজা, উপজেলা:চাঁপাই নবাবগঞ্জ। মোবাইল:০১৭১৭৫১৪০০৫

কাছে এলে ঝুঁকি

মোঃ হাসু কবির

কাছে এলে ঝুঁকি বাড়ে
দূরে নিরাপদ
আগে ভাই শুনি নাই
এমন আপদ।

দেহে এলে হুমকিও
রয় প্রাণ নাশে
জানাজানি হলে কেউ
থাকে না তো পাশে।

জীবন্ত লাশ হয়
একা ঘরে বাঁচে
সেবা হীন কাটে ক্ষণ
রোগটা ছোঁয়াচে।

এই রোগে মারা গেলে
কেউ তো ধরেনা
ধরবে যে মরবে সে
নাম যে করোনা।

দূরে দূরে থাকলেই
নিরাপদ অতি
দূরে দূরে থেকে সবে
দূর করি ক্ষতি।

প্রিয়, আপনার এককপি ছবি দিবেন  ।
Show quoted text

যদি বলো
পলাশ দাস

যদি আমাকে বলো
সবুজ পৃথিবীর গূঢ় ইতিহাস 
আমি বলবো
বিগব্যাং,ব্ল্যাকহোল
যদি আমাকে বলো
মানবপ্রীতির কথা
আমি বলবো
রাখিবন্ধন
যদি আমাকে বলো
মানব ইতিকথা
আমি বলবো
আদম -ইভ
আর সহস্র যোজন পথ

গ্রাম: আমতা (চাঁদনী)
পোষ্ট:আমতা
থানা:আমতা
জেলা:হাওড়া
পিন:৭১১৪০১           

চলমান:৯৬৭৯১৯২২২৩

আজি খুলিয়া দাও মনের দুয়ার
অসীম কুমার মন্ডল
.
আজি খুলিয়া দাও মনের দুয়ার
হিংসা বিরোধ ভুলিয়া সবার
আপন করো সবাই রে,
গানের সুরে গানের তালে
অভিন্ন এই গগন তলে
মায়ার ডোরে বাঁধো রে।

বনে বনে বসেছে মেলা
কচি পাতায় মাতিছে খেলা
দখিন হাওয়ার তালে রে,
বনের পাখি দিশেহারা
উড়ছে আজি বাঁধন হারা
গাইছে মনের সুখে রে।

শিউলি বেলী একই সাথে
দিচ্ছে সুবাস এই প্রভাতে
নিদ্রা হতে জাগো রে।
ধরনী যেনো নতুন সংসার
হিংসা বিরোধ ভুলিয়া সবার
আপন করো সবাই রে।।

অসীম কুমার মন্ডল
রূপরামপুর, ডুমুরিয়া, খুলনা, বাংলাদেশ।
মোবাঃ ০১৯৬৬৬১২৯১২

শৈশবের দুপুর
রাবাত রেজা নূর

একটা দুপুর অলস দুপুর
ঘুম নেই দুটি চোখে।
মায়ের বকুনি অনুনয় শেষে
দুটো ভাত গুজে মুখে।

একটা দুপুর মার্বেল  খেলা
ভুলে সব কিছু।
পথের পাশে ডাংগুলি আর
পাখির বাসা আজো ডাকে পিছু।

মনটা এখন খুজে বেড়ায়
একটা অলস দুপুর।
যেই দুপুরে ডুবসাঁতারে
ঘোলা হতো মাস্টার বাড়ির পুকুর।

রাবাত রেজা নূর
ঢাকা।
ফোন: ০১৯৬০-৫৪৬৯০৫
মেইল: rabatrezanoor@gmail.com

                       "দান"
কে দিয়েছে এ জীবন তোরে?
প্রভাতগানে,নিদ্রা ভোরে।
কে দিয়েছে মানবশরীর?
সময় টাকে ধরতে ঘড়ির।
কার পানে চাও?কেউ নাহি চায়,
কার প্রয়োজন বেকার তোমায়।
এই সময়ে স্বার্থপরের চরম লজ্জা,
গহনা পড়েছে খসে,রূপহীন এই দেহসজ্জা।
বুঝতে পারোনি?সে যে মহাপাপী,
অন্যের ক্ষতি করেও,বিন্দুমাত্র নয় অনুতাপী।
কতদিন আর সইবে তুমি এই অপমানভার,
সবার চোখে তুমিই দোষী,তুমিই শাস্তিকার।
শুধু যেওনা কারার তলে,
ঢের সুখ ফাঁসি,ভারতে মরিব বলে।।

নাম:অনুভব অধিকারী
গ্রাম+পোস্ট:কলসা/থানা:ফলতা
পিনকোড:৭৪৩৫০৩
জেলা:দক্ষিণ ২৪ পরগণা
ফোন নং:৮৯২৭৫৬৭০৯৯

স্বপ্নিল
----------

আমরা নিজেরাই তো এক একটা আইল্যান্ড
চতুর্দিকে লবণ জলের হ্রদ ,
হাসিতে জল
কান্নায়ও জল ॥
একবার মহাবিশ্বের আলো
আর একবার অন্ধকার ।
সূর্য আড়ালে লুকোচুরি খেলে খেলুক
আকাশেতো তারার খৈ ফুটেছে ,
এভাবেই সমুদ্রের জলে স্বপ্ন লেখা হয় তাই না।

কাকলী দাস ঘোষ

Name :Kakali Das Ghosh

Address :
Kakali Das Ghosh
C/O-Kanai Lal Das
35/14,, Harshabardhan Road
Durgapur-4
Dist-Burdwan-(West)
West Bengal
Pin-713204

Contact No :         
mob:7364821804

সৃষ্টি

মানবেশ মিদ্দার

ব্যবধানে বসে ফুল ভাবে প্রজাপতি,

মন খুঁজে ফেরে দেখার নতুন মন,

মননশীলতা সৃজনশীলতা গতি,

চুল ব্যবধানে রঙ মাখে অগণন।

তীব্র ভীষণ কাঁপছে আবেগ ভাবনা,

অতি দ্রুত লয়ে নীরব মন্ত্র সরব,

আমার তুমি যে শত তন্ত্রীতে ঝঙ্কার,

প্রেম ভালোবাসা স্নেহ-আবেগে নীরব।

শাখা প্রশাখা ... মিশেছি মাটিত দুজন,

কখনো গোলাপ, কখনো পক্ষী কূজন।

ভাবতে ভাবতে বিকশিত হলো ফুল,

পাপড়িতে তার মনন সাধন রঙ,

আমাতে তোমাতে ভাগা ভাগি এক চুল,

চুলের শরীরে থাকনা কিছুটা জঙ!

____________

গ্রাম :  প্যামড়া

পোস্ট :  জোতরাম
জেলা :  পূর্ব বর্ধমান
পশ্চিম বঙ্গ
পিন :  713104

ফোন :  9832122134

আরো একবার পবিত্র হই
-----------------------------------
      এম বদরুল ইসলাম প্যাটেল
      রচনাকাল-০১/০১/২০২০

নৈশব্দের কুটিরে আবদ্ধ ভালোবাসা
আরো একবার পথ খোঁজে,হাতড়ায়!
গভীর রাতে হঠাৎ করে আসা বৃষ্টিতে
গাঙ ভরে আসা বন্যায় প্লাবিত দুপার।
ধুয়েমুছে যদি নিয়ে যায়,আকাশ তার;
আরো একবার পবিত্র হয়ে কলম ধরবো
জমানো সকল হৃদয় কথা বইবে।
বন্যা
সেই বৃষ্টি হতে এক বিন্দু জল দাও আমায়
একবার হৃদয়টা ধুয়ে নেই,
দুচোখের নোনাজল আর কতকাল
হৃৎপিণ্ডে সাগর বইবে!
পবিত্র হয়ে একবার শেষবারের মতো
ভাবনায় বাস্তব খুঁজে দেখি।
পথ ফিরে পেতে পারি তার হারানো ঠিকানায়।
--------------------------------------------------

নিয়তির কী খেলা

মোঃ হাসু কবির

সবার সাথে সুখে দুখে
কেটে গেল মোর বেলা
সবাই আমায় ভুলে যাবে
নিয়তির কী এই খেলা।

তিন'শো পঁয়ষট্টি দিন আয়ু
বারো মাসে পূর্ণ রয়
তিরিশটা দিন চলে গেলে
আয়ুর একমাস হয়রে ক্ষয়।

অল্প আয়ুর জীবনকালে
আচরণ হয় বহুরূপ
দুখ সাগরে ভাসে কেহ
আনন্দটা কারো খুব।

কারো ছিলাম চোখের মণি
কারো চোখেরই  বালি
শুকরিয়াটা কারো ছিল
কেহ দিতো বেশ গালি।

এমনি করে আমার মতো
হারিয়ে সব যাবে ভাই
আমার একটি বছর মাঝে
কষ্ট পেলে ক্ষমা চাই।

কালিয়াকৈড়, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।

কবিতাঃ   একলা মন
        কবিঃফারজানা খানম রিমু

আমার আমিতে ডুবে রয়েছি আমি
মন যা চায় জানে  অন্তর্যামী,
নিস্তেজ আমি হারিয়ে যাই অন্ধকারে
ফেরানো যাবেনা আমায় শেষ প্রহরে।

একলা আমি বসে থাকি আনমনে
এই বুঝি পাবো দেখা সুখের,
বিষণ্ণতা ঘিরে রাখে  শুধু আমাকে
বিদায় জানাতে চায় মন হতাশাকে।

একলা আমি দাঁড়িয়ে আছি একা
চারিদিক আজ লাগে বড্ড ফাঁকা,
অশান্ত আমি কেন হই দিশেহারা
তাই ভেবে হয়ে যাই আত্মহারা।

মন কে আজ জিজ্ঞেস করি
কেন তুমি করো লুকোচুরি?
মন বলে নিজেকে চিনে লও
আলো জ্বালিয়ে তুমি সুখী হও।

একলা মন হাসে কখনো কাঁদে
স্বপ্ন শুধু দেখি তাকিয়ে চাঁদে,
সন্ধ্যা তারা মিটমিট করে জ্বলে
একলা মন তার মতো চলে।
ধন্যবাদ।
Show quoted text

পৃথিবীর হার
আশরাফ আলী চারু

এক চোখে সূর্য খুঁজি
আরেক চোখে মেঘ
হতাশায় পালিয়েছে ওরা
জগদ্দলের হম্বিতম্বি দেখে ।

এখন সূর্যের আড়ালে চলে
অন্ধকার নিয়ে খেলা
ষড়যন্ত্র চলে মেঘের আড়ালে
পৃথিবীকে ফাঁদে ফেলার ।

গোলাকার চাকতির কাছে
হার মেনেছে পৃথিবীর গতি
তাই অহর্নিশ সূর্য খুঁজি
একটু আলো চাই বলে
মেঘ খুঁজে চলি বৃষ্টিতে পাপ ধুবো বলে ।

অথচ কাঙ্ক্ষিত ভোরের সূর্য আর মেঘ
বহুদূরেই থেকে যায় ।
হার মানে পৃথিবী,
হার মানে আমার পাপিষ্ঠ মন। 

প্রেরক-
আশরাফ আলী চারু
মাধবপুর,শেরপুর টাউন,শেরপুর-২১০০ 
জেলাঃশেরপুর,
বাংলাদেশ।
মোবাইলঃ ০১৯১৫১৬০০৫১

             
যৌবন
সুরঞ্জীত্ গাইন  (খুলনা-বাংলাদেশ)
যৌবন হ'ল ঝড়ের মতন, যৌবন হ'ল বন্যা।
চির দিন এই ধরণী যৌবন ধনে ধন্যা।।

মানে না কোন শাসন বারণ!
ছুটিয়া চলে সে অকারণ!!
শৌর্য বীর্যে নর বরেণ্য, নারী হয় বরেণ্যা।।

যখন তখন করে উল্লাস!
জানে না সে হা বা হুতাশ!!
অমলিন মুখে হাসে অনন্য, সাথে হাসে অনন্যা।।

ঈশ্বরকে কভু প্রভু ভাবে, কভু নিজেকে ভাবে ঈশ্বর!
আত্মা নিত্য পরম সত্য, যবে জেনে যায় দেহ নশ্বর!!
ত্রিলোক ব্যাপিয়া ছুটিয়া বেড়ায় হন হন হন হন্যা।।

বক্ষ মাঝে গরজে পাথার!
রাম ধনু ধরি দেয় টংকার!!
বীর হাতে খোলা তলোয়ার নাচে ঝন ঝন ঝন ঝন্যা।।

আঁচল কাঁচুলি জড়াজড়ি করে!
চুম্বন জাগে ওষ্ঠে অধরে!!
প্রেম মোহে মোহিত হয় নিখিল পুত্র কন্যা।।

               ঠিকানা

           সুরঞ্জীত্ গাইন
C/O    তপন গাইন
গ্রাম    সাহেবেরাবাদ
পোষ্ট    সাহেবেরাবাদ
থানা    দাকোপ
জেলা    খুলনা
          বাংলাদেশ

কবি পরিচিতি
সুরঞ্জীত্ গাইন
জন্ম 1984 সালের 8 অক্টোবর। বাংলাদেশের খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার সাহেবেরাবাদ গ্রাম।
মাতা লীলা গাইন। পিতা তপন গাইন।

বাংলাদেশ ও ভারত হতে শিক্ষিত। বিশ্বের বহু দেশ হতে কাব্য সাধনায় প্রশংসিত ও অভিনন্দিত।

##প্রেম অপ্রেম ও একটি কবিতা###
সুদীপ্তা বিশ্বাস দত্ত

চুপ কর!
বুড়ো চাঁদ হাসছে মাথার উপর।
ভিতর ভিতর পুরে ছাই প্রেম।
সব ব্যথা লেখা থাক কোল বালিশে।
বান্ধবীর গন্ধ ভাসছে চুলে।
পাশে বউ মরা নদী।
এখানে তো রক্ত করবী
গোলাপ আর ফুটবে কি?
নষ্ট বাসায় ফেরেনা পাখি আর।
যে যার মতো ব্যথা নিয়ে
চুপটি করে থাক।

ভোর রাতে চাঁদের সংলাপে
শুরু হোক নষ্ট প্রেমের আখ্যান।

মাতৃভূমি
মোহাম্মদ তানজিম ইসলাম জিহাদ

বাংলা আমার মাতৃভূমি
বাংলা আমার প্রাণ,
আমার দেশের মতো
কোন দেশেতে নেই
ক্ষেতের সোনার ধান।

এই দেশেতে জন্ম আমার
এই দেশেতে সুখ,
প্রাণ জুড়িয়ে যায় যে আমার
দেখলে মায়ের মুখ।

এই দেশেতে আছে কতো
গাছপালা আর ফুল,
এসব দেখে মন জুড়ে যায়
পাই হৃদয়ে সুখ।

কূজন ডাকে ঘুম ভাঙ্গে
আলো হয় যে দেশ,
ভালোবেসে থাকি সবাই
নেইকো সুখের শেষ।

মনের ভিতর গেঁথে আছে
সবুজ বাংলাদেশ,
বিশ্বজুড়ে গৌরবে সেরা
নেই গো এর শেষ।

বাংলা আমার আশ্রয়স্থল
এই বাংলা আমার মা,
যেখানেই হোকনা মরণ
এই বাংলায় যেন হয়
আমার শেষ ঠিকানা।

যুগের মন্ত্র

             জয়নুল ইসলাম বড়ভুইয়া (মনিপুর)

অনল জ্বলে   বুকে সুপ্ত
সরল জনে  কাঁদে গুপ্ত।
নকল সাজে   ঠকে ভ্রষ্ট
সফল হতে  আছে কষ্ট।

ঘাতক খুনে  ভেসে তৃপ্ত
মাদক আয়ু নাশে লিপ্ত।
সাগর দিনে রাতে ক্ষিপ্ত
বাঁদর ভালোবাসে নৃত্য।

কুকুর রাখে   প্রভু ভক্তি
নুপুর পায়ে  মেলে শক্তি।
লেখক মুখে   কটু উক্তি
সেবক হতে মাগে যুক্তি।

গোবর লুটে  ভাবে খাদ্য
উদর পুরে     যথা সাধ্য।
ভুলের তরে   দেবে মূল্য
ধুলের মতো   হবে তুল্য।

অন্তর্দাহ।
সুজা মজুমদার (শিলচর)  

গাছের কুঠুরি'তে সযত্নে বেড়ে ওঠা দুটো পাখি,
ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব আর সরীসৃপের লোলুপ আঁখি,
বয়স আর সবুজের অভাবে নুয়ে পড়া বৃক্ষশাখা-
সময়ের বিবর্তনে আদৌ তারা কী মেলিবে পাখা?

ভবিতব্য জানে কালের গহ্বরে ঘটনার ইতিবৃত্ত,
রাক্ষুসে ক্ষুধায় মানুষও পশু হয় প্রতিনিয়ত,
তন্দ্রা আসে তবু্ও জেগে থাকার সকরুণ প্রয়াস-
প্রকৃতির কান্না,দূষণ বাতাসে তবুও স্বপ্ন বিলাস।

ভালোবাসার সংরক্ষিত একটুকরো নীলাভ আকাশ,
অবিশ্বাসের মেঘ ঢেকে দেয়,কোথায় আভাস?
হৃদয়ের অদৃশ্য দেওয়ালে লক্ষকোটি হিংসার আঁচড়,
আততায়ীর চেনা চেনা মুখ,কলঙ্কিত পরিসর।

নিজেকে প্রস্তর সম বেঁধেছি অনুভবের সন্তর্পণে,
অনুভূতি প্রতিদিন দাহ হয় সময়ের উঠোনে,
অলিখিত কিছু শব্দ প্রায়শই কেঁদে ওঠে প্রবঞ্চনায়-
পথ সে তো পথেই আছে,পথিক শুধু পথ ভুলে যায়।

পথ
অাশুতোষ দাস (হাইলাকান্দি) 

ঐ কিশোর  কোথায় থাকিস  কোথায় অাছে
স্কুল।
জন্মথেকে  পেটের ক্ষুধায়  ঝরে গেছে
ফুল।
করোনা -না    অন্য কিছু  শুধু খুঁজছে
রুটি
পথে পথে  ঘুরতে ঘুরতে  সারাবেলা
ছুটি।

ইচ্ছে করে 

   রফিক উদ্দিন লস্কর (হাইলাকান্দি) 

ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে
সবুজ কোনো বনে,
সঙ্গ দিতে শীতল বায়ের
গাছগাছালির সনে।

তলিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
নীল সাগরের জলে,
চুপটি করে শুনবো কথা
ঝিনুকেরা যা বলে।

ইচ্ছে প্রবল মিশে যেতে
রাতের অন্ধকারে,
কষ্ট নিয়েও থাকবে হাসি
অধরের দুই ধারে।

১৭/০৮/২০১৯ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি
(আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই:

খোকন রাজা

খোকন রাজা   রফিক উদ্দিন লস্কর  খেলার ছলে  ছোট্ট খোকন ভাবতো নিজেই রাজা, সে পোকা মাকড় ধরে এনে দিতো খুবই সাজা। কেউ কখনো বললে কিছু করতো খুবই রাগ...