মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

শব্দের ভেলা (সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা) বর্ষ-০২, সংখ্যা -০৮, ১৯শে মে, ২০২০ ইং

প্রকাশিত হলো ''শব্দের ভেলা'' 'সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা' বর্ষ-০২, সংখ্যা-০৮, ১৯শে মে ২০২০,
এই সংখ্যায় রয়েছে যাদের লেখাঃ-
কবি চৈতালী দাসমজুমদার (কলকাতা, কবি আশরাফ আলী চারু (বাংলাদেশ), কবি মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
(বাংলাদেশ),  কবি জয়নুল ইসলাম বড়ভুইয়া(মনিপুর), কবি সুমন রঞ্জন সেন(করিমগঞ্জ), কবি বিপ্লব গোস্বামী (করিমগঞ্জ), কবি কালাচাঁদ মৃত্যু (বাংলাদেশ), কবি শুভঙ্কর রায় (কলকাতা), কবি রতন নস্কর (দঃ২৪পরগনা), কবি খান আখতার হোসেন (খুলনা, বাংলাদেশ), কবি হাসানুজ জামান বড়ভূইয়া(হাইলাকান্দি), কবি মিলি বসাক (বাংলাদেশ), কবি পত্রলেখা ঘোষ (কলকাতা) ও কবি রফিক উদ্দিন লস্কর (হাইলাকান্দি)।







_______________________________________________
সম্পাদকীয়ঃ-
আজ ১৯শে মে,  ১৯৬১ সালে সেদিনের শহীদ বেদিতে যাঁরা মাতৃভাষার জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন  কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র চন্দ্র পাল, কানাই লাল নিয়োগী, হিতেশ বিশ্বাস, সুকোমল পুরকায়স্থ, তরণী দেবনাথ, চণ্ডীচরণ সূত্রধর, সুনীল সরকার, কুমুদরঞ্জন দাস, সত্যেন্দ্র দেব ও বীরেন্দ্র সূত্রধর।
হত্যা নির্যাতন চালিয়ে পুলিশ সেদিন আন্দোলনের গতিরোধ করতে পারেনি। শহীদের লাশ আন্দোলনকারীদের নতুন শক্তিতে উদীপ্ত করে। অভূতপূর্ব গণজাগরণের মুখে অবশেষে নতি স্বীকার করতে হয় সরকারকে। ১৯৬০ সালের অসম ভাষা আইনকে সংশোধন করা হয়। ১৯৬১ সালে শহীদের রক্তেভেজা বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষা সরকারী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। অধিষ্ঠিত হয় মর্যাদার আসনে।
একুশ আর উনিশ একই সূত্রে গাঁথা। একই প্রত্যয়ে, একই দাবিতে গড়ে উঠেছিল দুটি আন্দোলন। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার সমুন্নত রাখতে হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছিল ওরা। সেই বলিদান বৃথা যায়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে একুশ। এটা আমাদের গৌরবের, অহঙ্কারের। সেই গৌরবগাথা অর্জনে বরাক উপত্যকার এগারো শহীদের আত্মত্যাগ কোন অংশেই কম নয়! আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই। সালাম, রফিক, সফিক, বরকত, জব্বারসহ সব ভাষা শহীদের সঙ্গে আমরা তাদেরও স্মরণ করব। জানাব বিশ্ববাসীকে, একুশের মতো আরও একটি রক্তেরাঙা উনিশে মে আছে আমাদের।
_______________________________________________
উনিশের কথা
চৈতালী দাসমজুমদার (কলকাতা)
বাংলা ভাষায় দুর্নীতি আজ এযে সবার অপমান,
পণ করেছি জীবন দিয়েও রাখব ভাষার মান ।
ভুলেনি এখনো ভারতবাসী উনিশের সেইদিন ,
সেদিন কারা শহীদ হয়েছে একটু জেনে নিন।
বাংলা ভাষায় স্লোগান তুলে এগিয়ে ছিল যারা ,
শেষ হয়েছে এগারোটা প্রাণ তাদের মা যে সর্বহারা। দেশবাসী আজ ভুলতে বসেছি তাদের ত্যাগের কথা, সুনীল,কমলা,হিতেশ,তরনীর মনে কতটা ছিল ব্যথা।
শহীদের তাজা রক্তে দেখি ভিজে আসামের পথঘাট,
পুড়েছে লাশ জ্বলছে আগুন শিলচরের শ্মশানঘাট।
বাংলা ভাষাকে মহান করতে ধ্বংস এগারোটা প্রাণ, ভুলিনি আজও ভাষা শহীদের স্বেচ্ছায় শহীদ অম্লান।
বাংলা ভাষা কত শহীদের রক্ত দিয়ে গড়া ,
তাইতো আজ বাংলা ভাষা যেন মধুরতায় ভরা।
গর্ব আমার বাংলা ভাষা বাংলা জাতীর অহংকার,
বাংলা আসাম ত্রিপুরার মাঝে বাংলা ভাষায় জয়জয়কার।
________________________________________________
মায়ের ভাষা
আশরাফ আলী চারু (বাংলাদেশ)
মায়ের মুখে শোনা ভাষা 
মায়ের কাছে শেখা 
সে আমার এ বাংলাভাষা
দু-চোখ জুড়ে দেখা।
ছড়া গানের ছন্দ শুনে 
প্রথম অ আ শেখি
মায়ের ভাষায় কথা বলি 
মায়ের ভাষায় লেখি। 
মা যেমনি প্রিয় আমার 
তেমন প্রিয় ভাষা 
মায়ের মতই ভালবেসে 
মরবো এমন আশা।
_______________________________
গাঁয়ের পাশে নেইতো নদী
মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
(বাংলাদেশ)
গারো পাহাড় সীমান্তে ওই
আমি যেথায় থাকি,
সকাল সন্ধ্যা নানান ছবি
মন খাতাতে আঁকি।
নেইতো নদী- জমির ফসল
মন জুড়িয়ে থাকে,
খালে বিলের কলমী লতা
শোভা গাঁয়ের বাঁকে।
নদী ভাঙা করুণ দশা
এই গাঁয়েতে হয় না,
আছে পাহাড় ফুলের বাহার
কোকিল টিয়ে ময়না।
কংস নদী কোথায় বহে
কেমন নদীর রেখা,
গাঁয়ের পাশে নেইতো নদী
হয়নি আজো দেখা।
_______________________________
দুরন্ত চাকর
জয়নুল ইসলাম বড়ভুইয়া(মনিপুর)
          
চাতুরীতে দুর্দান্ত   বনানীতে অক্লান্ত
দুরন্ত বানর।
রজনীতে চক্রান্ত  ধরনীতে আক্রান্ত
ঘুমন্ত চাকর।
শ্রমজীবি বিধ্বস্ত  পরলোকে বিশ্বস্ত
অশান্ত হৃদয়।
হাসিমুখে সম্ভ্রান্ত   ভুখেমরা সিদ্ধান্ত
জ্বলন্ত বিষয়।
দুখেভাসা নির্লিপ্ত দিশেহারা বিক্ষিপ্ত
ডুবন্ত সুদিন।
ভুলেঠাসা বিভ্রান্ত পায়েচলা প্রত্যন্ত
চূড়ান্ত কুদিন।
বুকেজ্বালা অত্যন্ত অপমানে অভ্যস্ত
বসন্ত বিরাণ্।
পরিযায়ী বিচ্ছিন্ন ধরাশায়ী নিশ্চিহ্ন
অনন্ত জিরান্।
_______________________________
প্রেমাবেগ
সুমন রঞ্জন সেন(করিমগঞ্জ)
দেখা মিলে বারে বারে নয়নে নয়নে
হাসিখুশি ক্ষণেক্ষণে মিলন মেলায়
পরশে হৃদয়ে হাসি প্রেমের খেলায়
জেগে উঠে শত ঢেউ দেখবে আননে।
পাশে চাই দিবানিশি থাকবে মননে
হৃদয়ে হৃদয় জুড়ে পুনঃ আলিঙ্গনে
প্রেম রস লেগে আছে  মধুর চুম্বনে
শত আশা বুকে আছে মিটবে মিলনে।
অপরূপা শতরূপা কত নামে ডাকি
মনে মন মিলেমিশে হবে প্রেম মেলা
বুকে মাথা রেখে দিয়ে দেখা যাবে আঁখি
দেখে দেখে ফাঁকে ফাঁকে শুরু হবে খেলা 
গালে চুমু দিয়ে দিয়ে হাতে হাত রাখি
হেসে হেসে প্রেম রসে চলে যাবে বেলা।
__________________________________
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বিপ্লব গোস্বামী (করিমগঞ্জ)
বাংলা আমার মাতৃভাষা
বাংলা আমার চির আশা।
বাংলা আমার সব ভরসা
বাংলা আমার জীবন সরসা।
বাংলায় আমার জন্ম তাই
পৃথিবীর রূপ দেখিতে না চাই।
বাংলায় দেখি প্রথম সবিতা
তাইতো লিখি বাংলায় কবিতা।
যে ভাষার রাখতে মান
ঊনিশ একুশ নিলো প্রাণ।
এপারে ঊনিশে ওপারে একুশে
তাইতো বাংলার মান আজ সর্ব দিশে।
_______________________________
বিজলিপাত
কালাচাঁদ মৃত্যু (বাংলাদেশ)
মধ্যদুপুর হঠাৎ গেল নিভে;
সড়াক করে  পর্দা টেনে  সূর্যটারে ধরে
অন্ধকারে ছাপলো মেঘে বিষ্টিঠারে-ঠোরে
আকাশটারে  ফাড়লো আগুন-জিভে...
আলোর পরে  শব্দ দিড়িম ফাটে,
তব্ধকানে জব্দ হলো বৃদ্ধ: গাঁয়ের লোটা
তিনকুলেও কেউ ছিল না বংশে পুষ্পফোটা;
জীবনটা তার  বিজলি তোলে লাটে!
কান্নাকাটির  কেউ ছিল না মোটে;
শ্মশান বাদে দাফন হলো দুষ্টলোকের ধাচে
নামটি লোটার খোদাই দেখি গুপ্তচোখের কাচে;
মধ্যরাতে কবরটা কেউ লোটে!
ঠাটায় মরা হাড়ের না কি দাম!
আঙুল ফুলে জাগলো কারো অট্টালিকারাশি,
দিন-দুপুরে নিত্য বাজে  গরম-টাকার বাঁশি—
মুছলো ঠিকই বৃদ্ধ লোটার নাম।
_____________________________________
বাংলা আমার অহংকার
শুভঙ্কর রায় (কলকাতা)
বাংলা আমার অহংকার
স্নেহ মমতায় ভরা।
বাংলা ভাষায় গাঁথি মালা
বাংলায় কথা বলি, বাংলায় গান করা।
বাংলার বুকে জন্মে আমি
হয়েছি যে ধন্য।
বাঁচতেও পারি, মরতেও পারি।
এই বাংলার জন্য।
বাংলা ভাষা মাতৃ সম।
সৃষ্টির সৌন্দর্যে অপরূপ
অনন্য অন্যতম।
বাংলার জন্য প্রাণ দিয়েছেন
রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম।
ভাষা আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল স্বর্ণাক্ষরে
লেখা থাকবে তাদের নাম।
_______________________________
রক্তে রাঙা মাতৃভাষা
রতন নস্কর (দঃ২৪পরগনা)
শুধু ফেব্রুয়ারির একুশ তো নয় আরেকটি দিন আছে
ঊনিশে মে স্মরণীয় দিন সব বাঙালির কাছে ।
মাতৃভাষার অধিকার চেয়ে শাসকের কড়া গুলি
আসামের অমর ভাষা শহীদদের আমরা না যেন ভুলি ।
শাসকের চোখে চোখ রেখে তারাই দাঁড়াল রুখে
রাজপথ  হল রক্তে রাঙা বুলেট বিঁধল বুকে ।
জান দিয়ে তারা রক্ষা করেছে বাংলা ভাষার মান
প্রাণের ভাষায় স্বপ্ন উড়ান যুদ্ধ জয়ের গান ।
পাহাড়ের বুকে কান পেতে শোন কমলা আজও ডাকে
জেগে ওঠ সব ভাইরা আমার দুর্যোগে মেঘ ঢাকে ।
এ ভাষা আমার জনম জনমের যায় কি সহজে ভোলা ?
এই প্রিয় ভাষায় গল্প গান প্রাণে দেয় রোজ দোলা ।
আকাশের দিকে চোখ মেলে দেখ মেঘেদের ফাঁকে ফাঁকে
বর্ণমালার অক্ষর গুলো রুপ কথা ছবি আঁকে ।
শপথ করছি এই ভাষা যদি কেউ নিতে আসে কেড়ে
রক্ত দিয়ে রুখব আমরা সহজে দেব না ছেড়ে ।
ভুলিনি আমরা তোমাদের আজও রেখেছি হৃদয় মাঝে
শিরায় শিরায় শোণিতে শোণিতে ভাষার বাদ্যি বাজে ।
______________________________________________
নতুন অতিথি
খান আখতার হোসেন
(খুলনা, বাংলাদেশ)
মিটিমিটি চেয়েচেয়ে
হেসেহেসে দুলেদুলে
মনেতে আলোজ্বেলে
দুনিয়াতে চলে এলে।
দাদাদাদী নানা-নানি
দিনশেষে জানাজানি
সবে করে তোড়জোড়
আনন্দের কানাকানি।
আজানের মধুর ধ্বনি
সব খানে শুনি আজ
ফেরেস্তাদের জয়রব
চারিদিকে সাজসাজ।
স্বাগতিক উল্লাস রবে
আকাশেই বইছে জয়
অপশক্তি পরাস্ত হবে
জীবনের নেইকো ভয়।
_______________________________
প্রদীপ্ত
হাসানুজ জামান বড়ভূইয়া(হাইলাকান্দি)
  আমি বিধির বক্ষ ছেদিয়া চির উন্নত লাশ
  শাসনের আসনে বিদ্রোহীর সমান উল্লাস।
  আমি ঝড়ের ঝাড়ুনি, আমি নির্জনের জন,
  হিংসার গাড়ে বসে,মিশাতে হিংসার ছন ছন।                                                                        
  রক্ত ওই লয়েছে জোয়ার, উন্মাদের হুঁশিয়ারি
  কন্টে বাজিছে কৃষ্ণের ওই বাঁশের বাঁশরী।
   আমি ওই শহিদের রক্তের গ্রুপের চাহনি,
  আমি ওই দেই বেহেস্তের ফুলের শ্যামল হাসনী।
  আমি ওই মায়ের যষ্টি নয়নের দীপ্ত অঞ্জলী
  আমি ওই শিব, মহাদেবের জটাঝাল আকুলি।
  আমি ডাক মারি যখন চিৎকারে আল্লাহু বলিয়া
  তখন খোদার আরস থর থর  করে কাঁপিয়া।
  আমি দেখতে পারি আজরাইলের উত্তম সংহার;
  আমি মেতে উঠেছি ধরিত্রীর এই মহান সংসার।
  মিঞার কবর ওই, ঠাকুরের  মহা শশ্মান
  রয়েছে  স্মৃতি ওই তোমাদের চির অবসান।
   হবে যে অন্যায়ের পথ চির কালের নাশ,
   আমি বিধির বক্ষ ছেদিয়া চির উন্নত লাশ।
________________________________________
রক্ত লালে
মিলি বসাক (বাংলাদেশ)
যে মানুষেরা পথের পরে পথ রেখে চলে যায়
বহু দূরে নতুন গানে-নতুন সুরে
পুরানো জীবন বয়ে...
তুমি কি নও শীর্ণ নদী তাদেরই দলে?
প্রতিদিন যে সূর্য ওঠে রক্ত-লালে
কতটুকু শোক তাপ তাতে জ্বলে
প্রভাতফেরীর শিমুল পলাশ আশ্লেষে?
কতটুকু থাকে কেবল রক্তে
লাশ হয়ে যাওয়া...
কতটা পড়েছে ছায়া জলে, কতটা মাটিতে
অশত্থের নিচে ঝোপ-ঝাড়ে দুঃখের প্রতীক
শোকের মাতম কতটা কাকভোরে?
কিছুই যায়না দেখা বিভৎস অন্ধকারে
কতটা আলোয় গ্লানি,  কতটা ক্ষুব্ধ স্পর্ধা
নিয়ে চলে যায় সামান্য একটি স্ফুলিঙ্গে?
কোনো কিছু!  কোন শব্দ মন্ত্র
কোনো ধ্বনি প্রতিধ্বনি আসে না কানে।
দেখিনি কেউ কতটুকু রোদে ছেঁয়েছে আকাশ
কতটুকু আছে বাকি পৃথিবীতে
কতটা ফুটে আছে ফুল সুমধুর বাতাসের গায়ে
গাছের পাতায় ডালে ।
______________________________________
উনিশ স্মৃতি
পত্রলেখা ঘোষ (কলকাতা)
ভারতবাসী ভুলে গেছে উনিশ গৌরব গাথা,
নিজদেশের নির্লিপ্ততায় পাই যে মনে ব্যথা।
একুশ নিয়ে মাতামাতি আমরা‌ সবাই করি-
ক'জন বলো উনিশ স্মৃতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরি?
বাংলা আমার মায়ের ভাষা ভাষাশহীদের দান,
সেই ভাষার মর্যাদা নাশে কেঁপে ওঠে প্রাণ।
আসামবাসী শত বাধায় বাংলা বুকে রাখে-
নিত্য ফোটায় কত কুসুম বাংলা ভাষার শাখে!
আসাম রাজ্যের শিলচরেতে চললো সেদিন গুলি,
এগারোটা তাজা প্রাণের হলো সেদিন বলি।
দাবী তাদের একটাই ছিল বাংলা ভাষা চাই-
বাংলা তুল্য মহান ভাষা বিশ্ব মাঝে নাই।
কটা লোকের মনে আজো আছে উনিশ স্মৃতি!
নিজের ছেড়ে পরকে গ্রহণ এটাই  দেশের রীতি।
ভাষাশহীদ আজকে শুধু নীরব কেঁদে যায়;
তাদের ত্যাগকে ভুলে গেলো দেশবাসী যে হায়!
______________________________________
অমর উনিশ
রফিক উদ্দিন লস্কর (হাইলাকান্দি)
আমার ছিলো দশটি ভাই
একটি ছিলো বোন,
আজও পুষি  হৃদয় মাঝে
তাদের তাজা খুন।
আমার প্রিয় বাংলা ভাষা
সবার থেকে সেরা,
রক্ষা করতে সেই ভাষাকে
হয়নি ঘরে ফেরা।
বুকের মাঝে অদম সাহস
ভাষার প্রতি টান,
অকাতরে দিয়ে গেলেন
এগারোটি প্রাণ।
আজও আমি গর্ব করি
ভাইবোনের জন্য,
মা শব্দটা ডাকতে পেরে
জীবন হলো ধন্য।
জীবন বাজি রেখে যারা
লড়লো ভাষার তরে,
উনিশ এলে প্রদীপ জ্বলে
আজও সবার ঘরে।
মে মাসের ঐ ১৯ তারিখ
ভুলার কথা নয়,
রক্ত দিয়ে রেখে গেলেন
নিজের পরিচয়।
আমরা হাসি আমরা কাঁদি
এই ভাষাতে সব,
বাংলা আজও জিন্দা আছে
তোমরা কিন্তু নীরব!
________________________

কোন মন্তব্য নেই:

খোকন রাজা

খোকন রাজা   রফিক উদ্দিন লস্কর  খেলার ছলে  ছোট্ট খোকন ভাবতো নিজেই রাজা, সে পোকা মাকড় ধরে এনে দিতো খুবই সাজা। কেউ কখনো বললে কিছু করতো খুবই রাগ...