শুক্রবার, ১২ জুন, ২০২০

শব্দের ভেলা (সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা) বর্ষ-০২, সংখ্যা -১০, ১২জুন, ২০২০ ইং

প্রকাশিত হলো ''শব্দের ভেলা'' 'সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা' বর্ষ-০২, সংখ্যা-১০, ১২ জুন ২০২০,এ সংখ্যায় রয়েছে যাদের লেখাঃ-
প্রভুর কৃপা ছাড়া , মাহবুব-এ-খোদা(নাটোর-বাংলাদেশ)  
স্বাস্থ্যবিধি  ,বিপ্লব গোস্বামী (করিমগঞ্জ - আসাম)
বাঁচার চুলোয় ,বদরুদ্দোজা শেখু (বহরমপুর -কলকাতা)
প্রেম  সঞ্জয় গোস্বামী (কালাইন -আসাম)
কবিতা আমার, রতন নস্কর (ডায়মন্ড হারবার, দঃ২৪পরগনা)
স্মৃতি ,পুনম কর (ধর্মনগর- উত্তর ত্রিপুরা)
জীবনযাত্রা,  সুমন রঞ্জন সেন (নন্দপুর,করিমগঞ্জ,আসাম)
বোধের অভাব,  শ্যামল বণিক অঞ্জন (নকলা, বাংলাদেশ)
দিনান্তে, রফিক উদ্দিন লস্কর (হাইলাকান্দি-আসাম)
কাছে এলে ঝুঁকি, হাসু কবির (বাংলাদেশ)
আমি নবীন, এসকে সোহানুর রহমান সোহাগ ( বাংলাদেশ) 
ভিজিয়ে দিলো মন, চৈতালী দাসমজুমদার ( কলকাতা)   
বিস্তারিত রয়েছে ব্লগেঃ-





১.
কবিতা আমার
       রতন   নস্কর
ডায়মন্ড হারবার, দঃ২৪পরগনা
কবিতা আমার ইচ্ছে ডানার আকাশ
নীলদিগন্তে পরিযায়ী মেঘমালা
কবিতা আমার দিনযাপনের অঙ্গ
হৃদয়মাঝে সাজানো বরণডালা।
কবিতা আমার সুখ দুঃখের সাথী
ব‍্যথা বেদনা প্রতিবাদের ভাষা
কবিতা আমার একলা থাকার ক্ষন
তৃষিত ভুবনে গোপন ভালো বাসা।
কবিতা আমার ভাবনার বনবীথি
হাতধরে থাকা খেয়ালী নতুন বর
কবিতা আমার স্বপ্ন আমার শক্তি
দিবানিশি যার সাথে বা৺ধি ঘর।
____________________________
২.
বাঁচার চুলোয়
বদরুদ্দোজা শেখু (বহরমপুর -কলকাতা)
মন খারাপ ব'সে থাকি, বুড়োবুড়ি অপেক্ষায় আছি
কখন আসবে ফেরি সব্জিওয়ালা,দুটো ডালভাত
সব্জি কিছু দরকার । মৃত্যু কাছে ? হয়তো কাছাকাছি,
তবু আশা উসকায়--- কেটে যাবে করোনার রাত ।
চারিদিকে লকডাউন, তবু শুনি এখন বাজারে
ঠাসাঠাসি ভিড় হচ্ছে, পুলিশের নাকের ডগায়
সব চলছে খোলাখুলি , দেবালয় দরগা মাজারে
যাওয়ার উৎসাহ বেড়ে গেছে, মন্ত্রস্তোত্র বিজ্ঞানে ভোগায় ।
যতোটুকু সাধ্য আছে  তাই নিয়ে জড়োসড়ো থাকি
স্বাস্থ্য-সচেতনা যদি অসাবধানেই দ্যায় ফাঁকি
যা হবে তখন তা কি অপদায়  ?  দুটো বুড়োবুড়ি
নিত্যদিন  মুখোমুখি  সুখীদুখী  সখ্যতায় পুড়ি
স্মৃতির দরোজাগুলো ঝুল ঝাড়ে মাধবী ধূলোয়,
দুটো  ডালভাত সব্জি অকুলান বাঁচার চুলোয়।
____________________________________________
জীবন যাত্রা
            সুমন রঞ্জন সেন
   (নন্দপুর,করিমগঞ্জ,আসাম)
মাঝে মাঝে বিপর্যয় আসা খুব ভালো
তখন মুখোশ মানব,আত্মীয়
সব চেনা হয়ে যায়
তবে ভালো
দারুণ যে অভিজ্ঞতা মিলে
নভ যত কালো হোক
হয় চাঁদ নয় রবি
কালো দূর করে ফেলে
দৌলতে শতক লোভ সত্যি
চঞ্চল হৃদয়
ভোরে রবি দেখার আশায়
মন ছটফট করে ওঠে
শত কলি
ভিন্ন রঙ্গে,ভিন্ন গন্ধে
সময়ে দেখবে প্রস্ফুটিত দৃশ্য
হয়তো আনন্দ, নয়তো বেদনাময়
যখন উদার রবির অন্তর
অসহ্য যাতনা মননে কেবল
চাঁদ পানে চিত্ত থাকে
ধীরে ধীরে দিবা চলে
হাসিখুশি মন
চাঁদের আলোয় নতুন আকাশ
অপরূপ দৃশ্য
মুগ্ধ চিত্ত
ক্ষণিকে বদল হৃদয় আকাশ
রবি আলো ভীষণ সুন্দর
রাত থেকে দিবা ভালো
দিবা থেকে রাত ভালো
ভাবে চিত্ত ধনে আশ
লোভে মতি শান্তি নাশ
রঙ্গমঞ্চে রঙ্গখেলা
চলছে জীবনযাত্রা।
_________________________________
প্রেম
সঞ্জয় গোস্বামী (কালাইন, কাছাড়,অসম)
ভালোবাসা দেখা যায়না,
শুধু বুঝাযায় গো প্রিয়া।
বলো কি করে বুঝাই,বার বার শুধাই,
তুমি কেন বুঝনা।
চঞ্চল চিত্ত্বের এই বায়না,
তুমার প্রেম যদি পায়না,
রইবেনা এই বুকে  শ্বাস।
হয়ে যাব সবুজ শাখা,বৃষ্টি  হয়ে ঝরনা,
হয়ে যাব রঙ্গিন বসন্ত,কোকিল হয়ে  ডাকনা,
রইবনা আর  আসপাস,
দিয়ে যাব প্রেমের বনবাস।
বাতাস হয়ে সুগন্ধ ছড়াব, ভোরের কলি যদি হয়,
সরগম হয়ে যাব,গানের সুর যদি হয়,
হয়ে যাব প্রেমের পরিভাষা,
দিয়ে যাবে প্রেমের অধিবাস।
প্রেম আমার দীঘির জল, তুমি জল পদ্ধ,
তুমি আমার নীলনয়ন, যাকে ছাড়া আমি অন্ধ।
খুলে দিব মনের আকাশ,হয়ে যাবে প্রেমের প্রকাশ।
__________________________________________
প্রভুর কৃপা ছাড়া 
মাহবুব-এ-খোদা 
নাটোর,বাংলাদেশ 
চারিদিকে আহাজারি 
হারিয়ে গেছে সুখ, 
স্বজনহারা ব্যথা নিয়ে 
ভেঙে পড়ছে বুক।
একের পর এক গজব নাজিল 
এই দুনিয়ার তরে,
ক্ষুধায় কাতর গরিব-দুখীর
প্রাণটা ছটফট করে।
করোনা আর ঘূর্ণিঝড়ে
সবাই দিশেহারা, 
পথ দেখি না বাঁচার মতো 
প্রভুর কৃপা ছাড়া।
___________________________________________

স্বাস্থ‍্য বিধি
বিপ্লব গোস্বামী (করিমগঞ্জ -আসাম)
জল পাণ করবে খালি পেটে
যথা সম্ভব চলবে হেঁটে।
ঊষা কালে করবে যোগ
কখনো হবে না রোগ।
খাবার আগে পরে হাত ধোবে
আট ঘন্টার অধিক না শোবে।
শাক সবজি খাবে বেশি
মাছ মাংস খাবে দেশী।
খাবার খাবে নিয়মমাফিক
স্নান,ঘুম রাখবে ঠিক।
ছোট রাখবে চুল,নখ
থাকবে সদা নিরোগ।
রাগারাগি করবে কম
খুশি থেকো হরদম।
__________________________________________

বোধের অভাব
শ্যামল বণিক অঞ্জন
নকলা,বাংলাদেশ
কর্তা থেকে কর্মচারী লজ্জা নেইতো কারো,
চেয়ে দ্যাখো দম্ভ কতো চতুর পিয়নটারো!
কথা কাজের নেই কোন মিল
গলদ ভরা সব,
উন্নয়নের তুলছে ধোঁয়া
বদলে দেবার রব!
ষোলাআনা ব্যর্থ হয়েও
দাঁত দেখিয়ে হাসে,
ভাষণ দিতে আসন নিতে
ওরা ভালোবাসে!
পদের পদাবলি গাওয়া
ওদের একটা স্বভাব,
কর্মবিমুখ কর্তা বাবুর
বোধের বড্ড অভাব!
______________________________________
কাছে এলে ঝুঁকি 
মোঃ হাসু কবির 
কাছে এলে ঝুঁকি বাড়ে 
দূরে নিরাপদ 
আগে ভাই শুনি নাই 
এমন আপদ।
দেহে এলে হুমকিও
রয় প্রাণ নাশে
জানাজানি হলে কেউ 
থাকে না তো পাশে।
জীবন্ত লাশ হয়
একা ঘরে বাঁচে 
সেবা হীন কাটে ক্ষণ
রোগটা ছোঁয়াচে।
এই রোগে মারা গেলে 
কেউ তো ধরেনা
ধরবে যে মরবে সে
নাম যে করোনা। 
দূরে দূরে থাকলেই
নিরাপদ অতি 
দূরে দূরে থেকে সবে
দূর করি ক্ষতি। 
_____________________________________
স্মৃতি
পুনম কর (ধর্মনগর- উত্তর ত্রিপুরা)
স্মৃতিগুলো কাঁদায় আমায়
স্বপ্নগুলো হাঁসে।
স্মৃতিগুলো ডাকছে তোমায়,
অনেক ভালোবেসে।
স্মৃতি ঘেরা সাজানো মন
আজও তোমায় খোঁজে,
আজও মন ডাকছে তোমায় ,
অনেক ভালোবেসে।
_________________________________________
১০
ভিজিয়ে দিল মন
চৈতালী দাসমজুমদার
১২/০৬/২০২০
===========
বৃষ্টি এসে গোধূলি বেলায় ভিজিয়ে দিল মন ,
সকাল থেকেই অপেক্ষাতে ছিলাম সারাক্ষণ।
ছুট্টে গেলাম পুকুর ধারে বৃষ্টি ছুঁতে তোকে,
পাগল মনে হচ্ছে আমায় ভাবছে হয়ত লোকে।
বৃষ্টি পড়লে কেউ কি আর বাইরে ছুটে আসে, 
ওমন করে বৃষ্টিকে কেউ জড়িয়ে ভালোবাসে?
আকাশ দেখো কেমন যেন কালো মেঘে ঢাকা,
বৃষ্টি পড়ে ঝর ঝরিয়ে ঘুরছে পুস্পরথের চাকা।
পাগল এ মন দৌড়ে বেড়ায়  বৃষ্টির পিছু পিছু,
বৃষ্টি আমায় বাসেনা ভালো বলার আছে কিছু?
জোর করে কি ভালোবাসা কখনো পাওয়া যায়?
আমার প্রেম খোলা আকাশে দুঃখেরই গান গায়।
নীল আকাশে মেঘের ভেলা করছে ঘোরাফেরা,
বৃষ্টির চোখে জলোচ্ছ্বাস যেন দুঃখ দিয়ে ঘেরা।
মেঘ-বৃষ্টি দুজন কেমন ভেসে বেড়ায় এক সাথে,
আলিঙ্গনে ব্যস্ত থাকে সময় নেই আজ হাতে।
এমন সময় গর্জে ওঠে আকাশ ভীষণ রেগে,
চাঁদ সারা রাত বৃষ্টি দেখতে রইলো দেখি জেগে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ছিলাম দাঁড়িয়ে একা,
গভীর রাতে বৃষ্টি রানীর যদি রে পাই দেখা।.
________________________________________
১১
বিষয়ঃকবিতা
শিরোনামঃ আমি নবীন
 লেখকঃএসকে সোহানুর রহমান সোহাগ
তাংঃ২৭-০৫-২০ইং
আমি এখন নবীন,
মনে যা চাই তাই করি 
আমি এখন স্বাধীন। 
নবীন হয়ে চলি আমি, এটাই আমার পন
জীবনের এই সময়টুকু সবচেয়ে দামি। 
নবীন হয়ে গড়ব দেশ আমি হব দেশের কারিগর, 
দেশের হাল ধরব আমরা নবীনেরা
আমরা এখন নতুন দেশের নতুন দাবিদার। 
দেশের  কাব্যে লিখবো আমি রঙিন লেখা, 
নবীনের নতুন কাব্য
আমাদের দেখে হবে নতুন প্রজন্মের শেখা। 
আমরা নবীনেরা গড়ব সোনার বাংলা, 
দেশ হবে স্বাধীন এর মত স্বাধীন
 সবার মুখে থাকবে শুধু একটাই কথা জয় বাংলা। 
নবীন ছড়িয়ে যাক দেশের সব জায়গায়,
দেশের কাজ করবে সবাই
নবীনদের হাতে যেন দেশ এগিয়ে যায়।। 
আমি যে এখন নবীন,
দেশ গড়তে নিয়ে আমার কোনো বাধা
আমার দেশকে হতে দেব না আর কখনো পরাধীন


1 টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

সব কবিতাগুলো পড়লাম। খুব সুন্দর লেখেছেনে। শব্দের ভেলা এগিয়ে যাক।

উনিশ আমার গর্ব

   উনিশ আমার গর্ব   রফিক উদ্দিন লস্কর  উনিশ আমায় দুচোখ ভরে স্বপ্ন দেখায় রোজ, কেমন আছে করাল গ্রাসে  কে বা রাখে খোঁজ! দশটি ভাইয়ের এক বোন সত্যে...