. ভালোবাসার জয়
রফিক উদ্দিন লস্কর
সাতদিন হলো শ্রাবণীর জ্বর, তা কিছুতেই নাহি কমে
মনে মনে ভাবে এইবার না'কি ধরিয়াছে তাকে জমে।
ডাক্তার, বদ্যি দেখায়েছে স্বামী, ক্ষমতার ভিতরে যা
ওষুধে না ধরে বরং বাড়ে,দুর্বল শ্রাবণীর কবরে পা!1
সন্তানহীন সংসার তাদের বার্ধক্য এসে করেছে ন্যুব্জ
অভাবের ঘরে সবাই সরে,একটুও কেউ লয়নি খোঁজ।
বাপের বাড়িতে শ্রাবণী ছিলো সবার প্রিয় ননীর পুতুল
ভালোবেসে বিয়ে, জীবনে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল?
সেই ছোটোবেলা একবার যখন হয়েছিল তার কাশি
কতো ডাক্তার এনেছিলেন ঘরে, বাপ, ভাই ও মাসি।
পুরানো দিনের সকল সুখের স্মৃতি শ্রাবণীর মনে পড়ে,
সে আজকের দিনে একাকী ঘরে অসুখের সাথে লড়ে।
পতিকে সে ভালোবাসে কতো প্রকাশ করা বড্ড কঠিন
দুঃখ তারা ভাগ করে নেয় জীবনে নেই হতাশার চিন।
পতি যে তার সবজির দোকানী, বাড়ির পাশেতে হাট
ঘর হতে চাইলে দেখা যায় তারে মাঝখানে এক মাঠ।
সকাল হলেই পসরা মেলে জীর্ণ শরীর মানেনা বাধা
হাটবারে সে করেনা দেরি, শীত, গ্রীষ্ম হোকনা কাদা।
এমনি করে শ্রাবণীর সাথে চল্লিশ বছর করেছে পার
দু'জন দু'জনকে শুধু ভালোবাসে খামতি হয়নি কার।
সাতদিন পরে শ্রাবণীর জ্বর বাড়িলো দ্বিগুণ মাত্রায়
এইবার না'কি পথ ধরিবে সে, তার অন্তিম যাত্রায়?
শ্রাবণীর শোকে ফোটে না কথা, অশ্রুতে ভিজে বুক
অভাগা পতির জীবন হতে চলে যাবে কি সব সুখ?
রচনাকাল- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং, ১১:৫১ মি.
মধুরা জংশন পয়েন্ট, শিলচর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন