অধরা স্বপ্নের সিঁড়ি
রফিক উদ্দিন লস্কর
সুলেমান তার অশীতিপর বৃদ্ধা মা'কে ঘরে রেখে
কবে বেরিয়েছিল? মা ঠিকই বলতে পারেন না।
একটি একচালা বাঁশের ঘর, পুরানো থালা বাটি
সামান্য একটুকরো জিরেত জমি আর সংসার সংগ্রাম।
মায়ের স্নেহের পরশ, বন্ধন ছেদ করে...
সে নিজেই কিছুটা আবিষ্কার করতে চায়,
মায়ের মুখে এক চিলতে হাসি আর পেটভরা খাবার।
বয়স বা আর কতো হবে!? আনুমানিক উনিশ কুড়ি,
বাড়ি থেকে বের হয়ে সেদিন কিছুটা পথ এগোয়
তারপর ট্রেনের ভিড়ে ঠাসা জেনারেল কামরায় উঠে পড়ে।
তিন দিন তিন রাত পর অচেনা দূর শহরে...
একটি কাজ চাই? ক্লাস এইট পাশের কোনো চাকরি আছে?
শহরের কোম্পানির বারান্দায় ঘুরাঘুরি, বায়োডাটা জমা
এভাবে সপ্তাহ খানেক চলে যায়,
তারপর একদিন রাতে শহরের কিছু পাগলা কুকুর
তাকে এমনভাবে কামড়ায় সেদিনই সে জমের সাথে সাক্ষাৎ করে।
স্বপ্নের সিঁড়ি থেকে পড়ে সেদিন সে অন্য দেশে চলে যায়,
বাড়িতে মায়ের স্বপ্ন, মুখের হাসি কিছুই তার আর দেখা হয়নি!
তবে দেখেছে তার মা, পাড়াপড়শি, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব
এক ফুটফুটে তরুণের কফিনবন্দি লাশ।
রচনাকাল- ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং, ২২:০২ মি. হোটেল বরাক - সাহাবাদ- হাইলাকান্দি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন