শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

ইদ এসেছে

  ইদ এসেছে 
    রফিক উদ্দিন লস্কর 
(নিতাইনগর-হাইলাকান্দি-আসাম)
আবির তুহিন উঠছে জেগে 
সকাল সকাল আজ,
গোসল করে আতর মেখে
গায়ে নতুন সাজ।

ইদে এসেছে ইদ এসেছে
বলছে তাদের ভাই,
ইদের দিনে খুশি বিনে
হিংসা নিন্দা নাই।

রমজান মাসে ধনী মানুষ
ফিতরা জাকাত দেয়,
যারা সর্বহারা গরীব মানুষ  
এসব তারা নেয়। 

ইদের দিনে কেউবা হাসে
কেউবা কেনো কাঁদে?
এসব দেখে তাদের মনে
খটকা খুব বাঁধে।

ইদ মোবারক ইদ মোবারক 
জানাই সবার তরে,
ইদের খুশি যাক্‌ বয়ে যাক্‌
আমির দীনের ঘরে। 

রচনাকাল- ২৮ মার্চ ২০২৫ ইং, রাত ৩:১১ মি.
(কাটলিছড়া-হাইলাকান্দি) 

ইদ আনন্দ

ইদ আনন্দ
   রফিক উদ্দিন লস্কর 
(নিতাইনগর-হাইলাকান্দি-আসাম)
বছর ঘুরে আসছে আবার
খুশির হাওয়া গায়,
ইদের খবর সবার মনে
দোলা দিয়ে যায়।

ইদের জন্য জোয়ান বুড়ো
সবাই খুশি আজ,
খোকা খুকির রংবেরঙের 
গায়ে নতুন সাজ।

ইদ এসেছে সবার মাঝে
একটি বছর পরে,
খুশির হাওয়া বইছে তাই
প্রতি ঘরে ঘরে। 

ধনী গরীব এক কাতারে 
পড়বে ইদের নামাজ,
ভালোবাসায় বিভেদ ভুলে
সবাই সমান আজ।

রচনাকাল- ২৮ মার্চ ২০২৫ ইং, রাত ৩:১১ মি.
(কাটলিছড়া-হাইলাকান্দি) 

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাপ-বেটার জোড়া লাশ

     বাপ-বেটার জোড়া লাশ
        রফিক উদ্দিন লস্কর  

আজ সকালে ছিলো খোকার গায়ে
স্প্রিংভ্যালি স্কুলের পোশাক,
পিঠে লাল স্কুলব্যাগ ভর্তি বই খাতা 
দুপুরে এলো মর্গ থেকে ডাক।

বাইকে করে বাবার সাথে বাড়ি ফেরা 
ফেরা হলো না, কাছে এসে,
এক ঘাতক ট্রিপার প্রাণ কেড়ে নিলো 
বাপ -বেটা স্বর্গযাত্রায় শেষে!


বছর আটের খোকা,  অতি আদরের
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে,
নিয়তির পরিহাস! অভাগী মা, দিদি
পরপারে বাপ-বেটা ওদের ফেলে। 


কেমনে সইবেন জোড়া লাশের শোক
জীবন্ত স্মৃতি ফুটফুটে খোকার, 
নির্বাক আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী 
কাফনের কাপড় গায়েও বাবার।

পাশাপাশি দুটি কবর একসাথে হবে 
আজ দুজনের জানাজার নামাজ!
কভু কি জানতেন বাপ-বেটা পরবেন
শেষের সেলাইবিহীন ধবধবে  সাজ।

রচনাকাল- ৬ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং, ২২:১০ মি. নিতাইনগর-হাইলাকান্দি। 

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভালো থেকো তুমি

.               ভালো থেকো তুমি
.             রফিক উদ্দিন লস্কর 
ভালো থেকো তুমি তোমার ভালোবাসা নিয়ে 
চলে যেতে পারো সকল দুঃখ আমায় দিয়ে। 
মান অভিমান হাতের মুঠোয় খাঁচায় বন্দী রাগ
বুক পেতে আমি নিতে পারি দুঃখের শতভাগ। 
একটি সালের আবেগ মূর্চ্ছনা সুখের সংগীত 
উতল হাওয়ায় ওড়াই ঘুড়ি চাইনা হার-জিত। 
আমার আমিতে শুধুই পড়ে রই মরার মতো,
বেদনার ভারে নুয়ে পড়ি হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত।
বিরহ গাঁথায় অশ্রু ঝরে অশান্ত মনের কোণে 
প্রেমহীন জীবনের শ্বাশতবাণী কে আর শোনে!
আপনভাজন দেয় পিছুটান শীতের কুহেলিকা 
স্তব্ধ মনে জ্বলেনা এখন বিজয়ের দীপশিখা।
আগামীর পানে পথচলা হোক অতীত ভুলে,
স্বপ্নের শহর সাজায় বাসর ডাকে দুহাত তুলে।
আয় চলে আয় আয়রে নবীন খুলে রেখেছি দ্বার,
আপন করে রাখবো ধরে যেতে দেবো না আর!

রচনাকাল- ৩১ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২১:০৫ মি. নিতাইনগর -হাইলাকান্দি।


রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতের রাতে

শীতের রাতে
রফিক উদ্দিন লস্কর 

শীতের রাতে গরম লেপে
কতো আরাম পাই
বিছানা মাঝে মনের সুখে 
ঘুমের দেশে যাই।।

স্বপ্নরা আসে ডানা মেলে
চোখের কিনারায়,
লাল নীল ও হলুদ যেমন
প্রজাপতির ডানায়।

রচনাকাল: ২৯ডিসেম্বর২০২৪ ইং, ২২:২৩মি.
নিতাইনগর-হাইলাকান্দি।। 

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

প্রবেশ নিষিদ্ধ

             প্রবেশ নিষিদ্ধ
          রফিক উদ্দিন লস্কর 
চীনের প্রাচীরের মতো সুউচ্চ একটা প্রাচীর 
বাড়ির ঠিক সামনে রংবেরঙের বাহার,
এখানে একটা ফুলের বাগান, আর সেখানে 
প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিনতাইকারী পোকার। 

এখানে রোজ রোদ্দুর পড়ে, মৃদু বাতাস বয়
পাখির কলতানে পুলক জাগে মনে,
এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ যে নোংরা গন্ধ বলে 
অপবাদ ও নিন্দা করে যেই জনে।

ফুলের সুবাসে যারা নাক সিটকায় কিংবা 
ধূলোময়লা থেকে নিজেকে সরায়,
এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ যে ফুলের কলিতে
অকারণে বিষদাঁতে কামড় বসায়।

এখানের ফুল পাখির আনন্দ উৎসব হয়
রোজ দেখি তা সজল নয়ন ভরে,
সবুজ পাতা কিংবা ফুল ফলের জলসায়
ভ্রমর প্রজাপতি ওড়াউড়ি করে। 

এখানে ঝিঁঝিঁপোকার করুণ কোরাস শুনে 
রাতেরবেলা কী দারুণ নিদ্রা আসে,
আবেগী মন স্বপ্নের শহরে পায়চারি করে 
চাঁদ আর শুকতারা খিলখিলে হাসে।

এই বাগানে অবাধ প্রবেশ দুটি বানরের
সমস্ত বাগান জুড়ে চলুক না রাজ,
ওদের জন্য তো এখানে বরাদ্দ করা আছে 
লালগোলাপি হলুদ ও খয়েরি সাজ।

রচনাকাল: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ইং, ২২:০৮মি. নিতাইনগর-হাইলাকান্দি। 

বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

ফুলের জীবন

----- ফুলের জীবন------
।। রফিক উদ্দিন লস্কর।। 

পতিত ভূমে ফুটিয়াছে আজ
রঙিন এক ফুল,
বাগানের ভিতরে হয়নি স্থান 
নিশ্চয় আছে ভুল।

নিজের কুল হারায়ে নিজে
লজ্জায় ঢেকে মুখ,
পরের ঘরে বাঁধিয়াছে ঘর
কতটুকু পায় সুখ!

ঝড়ো হাওয়ায় একাই দুলে
নিশ্বাস নিতে কষ্ট,
নিজের জীবন নিজের হাতে
সে করিয়াছে নষ্ট। 

পথভোলা এই ফুলের সুবাস
কতদূর আর যায়!
পথিকের মনে পায়নিও স্থান
যখনই সে অন্য গায়।

আসে না ভ্রমর মধুর খোঁজে 
এপথ ধরে আজ,
বনেবাদাড়ে বাঘ ও শেয়াল
যখন করছে রাজ।

একদা এক পথিক এসে
তুলিয়া নিলো ঘরে,
সানন্দে সে রাখিয়া দিলো 
ফুলদানিতে ভরে।

এমনি করে দিন হতে দিন
ফুলের জীবন কাটে,
নিজের ভুলে পায়নি স্থান
বিস্তৃত কোনো মাঠে। 

রচনাকাল: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ইং, ১৯:২৯মি. নিতাইনগর-হাইলাকান্দি।

ইদ এসেছে

  ইদ এসেছে      রফিক উদ্দিন লস্কর  (নিতাইনগর-হাইলাকান্দি-আসাম) আবির তুহিন উঠছে জেগে  সকাল সকাল আজ, গোসল করে আতর মেখে গায়ে নতুন সাজ। ইদে এসেছ...