সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

বানবাসীর জীবন

বানবাসীর জীবন 
রফিক উদ্দিন লস্কর 

এই ক'দিনের অতিবৃষ্টি 
বন্যা দেখা দিলো,
গ্রামগঞ্জের সবার মুখের
হাসি কেড়ে নিলো।

রাস্তাঘাট আর বসতভিটা 
পানির নিচে ঠাঁই,
মানুষ কিংবা গবাদিপশুর 
যাওয়ার জায়গা নাই।

খাবার কিছু নেই ঘরেতে
বেহাল জনজীবন,
অবুঝ শিশুর তরে কাঁদে
মা জননীর মন।

বন্যা এসে ভাঙলো আমার
সকল মনের আশা,
ভাসিয়ে দিল সকল কিছু
এই বন্যা সর্বনাশা।

ভেসে যায় সব ফসলপাতি
ভাসছে ঘরবাড়ি,
চোখের জলে ভেসে ভেসে
এলাম গৃহ ছাড়ি।

রচনাকাল: ০২ জুন ২০২৫ ইং, ২১:৩৬মি. হোটেল বরাক-সাহাবাদ।


বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫

সেই শহরে

.                সেই শহরে 
.     ।।    রফিক উদ্দিন লস্কর   ।। 
একটি শহরের ব্যস্ততম এক গলিতে 
আমার ভাবনাগুলো পাতিকাকের মতো
রোজ সকালে বৃষ্টি কুয়াশা উপেক্ষা করে 
কা কা করে ডেকে শহর পরিক্রমা করে।
মাঝেমাঝে মানুষের আচরণে বিদ্ধ হয়ে 
তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের ফুলঝুরি মাথায় পড়ে, 
শহর ছেড়ে দূর কোথাও যেতে ইচ্ছে করে, 
যেখানে ভালোবাসার মোড়কে খাবার মেলে।
একটু শান্তিতে থাকা যায় পরিবার পরিজনে
কিছু স্বস্তির শ্বাস আর শান্তি থাকে মনে।

রচনাকাল: ১৬এপ্রিল ২০২৫ইং, ২১:৪৩মি. (হোটেল বরাক-সাহাবাদ)

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫

ইদ এসেছে

  ইদ এসেছে 
    রফিক উদ্দিন লস্কর 
(নিতাইনগর-হাইলাকান্দি-আসাম)
আবির তুহিন উঠছে জেগে 
সকাল সকাল আজ,
গোসল করে আতর মেখে
গায়ে নতুন সাজ।

ইদে এসেছে ইদ এসেছে
বলছে তাদের ভাই,
ইদের দিনে খুশি বিনে
হিংসা নিন্দা নাই।

রমজান মাসে ধনী মানুষ
ফিতরা জাকাত দেয়,
যারা সর্বহারা গরীব মানুষ  
এসব তারা নেয়। 

ইদের দিনে কেউবা হাসে
কেউবা কেনো কাঁদে?
এসব দেখে তাদের মনে
খটকা খুব বাঁধে।

ইদ মোবারক ইদ মোবারক 
জানাই সবার তরে,
ইদের খুশি যাক্‌ বয়ে যাক্‌
আমির দীনের ঘরে। 

রচনাকাল- ২৮ মার্চ ২০২৫ ইং, রাত ৩:১১ মি.
(কাটলিছড়া-হাইলাকান্দি) 

ইদ আনন্দ

ইদ আনন্দ
   রফিক উদ্দিন লস্কর 
(নিতাইনগর-হাইলাকান্দি-আসাম)
বছর ঘুরে আসছে আবার
খুশির হাওয়া গায়,
ইদের খবর সবার মনে
দোলা দিয়ে যায়।

ইদের জন্য জোয়ান বুড়ো
সবাই খুশি আজ,
খোকা খুকির রংবেরঙের 
গায়ে নতুন সাজ।

ইদ এসেছে সবার মাঝে
একটি বছর পরে,
খুশির হাওয়া বইছে তাই
প্রতি ঘরে ঘরে। 

ধনী গরীব এক কাতারে 
পড়বে ইদের নামাজ,
ভালোবাসায় বিভেদ ভুলে
সবাই সমান আজ।

রচনাকাল- ২৮ মার্চ ২০২৫ ইং, রাত ৩:১১ মি.
(কাটলিছড়া-হাইলাকান্দি) 

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বাপ-বেটার জোড়া লাশ

     বাপ-বেটার জোড়া লাশ
        রফিক উদ্দিন লস্কর  

আজ সকালে ছিলো খোকার গায়ে
স্প্রিংভ্যালি স্কুলের পোশাক,
পিঠে লাল স্কুলব্যাগ ভর্তি বই খাতা 
দুপুরে এলো মর্গ থেকে ডাক।

বাইকে করে বাবার সাথে বাড়ি ফেরা 
ফেরা হলো না, কাছে এসে,
এক ঘাতক ট্রিপার প্রাণ কেড়ে নিলো 
বাপ -বেটা স্বর্গযাত্রায় শেষে!


বছর আটের খোকা,  অতি আদরের
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে,
নিয়তির পরিহাস! অভাগী মা, দিদি
পরপারে বাপ-বেটা ওদের ফেলে। 


কেমনে সইবেন জোড়া লাশের শোক
জীবন্ত স্মৃতি ফুটফুটে খোকার, 
নির্বাক আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী 
কাফনের কাপড় গায়েও বাবার।

পাশাপাশি দুটি কবর একসাথে হবে 
আজ দুজনের জানাজার নামাজ!
কভু কি জানতেন বাপ-বেটা পরবেন
শেষের সেলাইবিহীন ধবধবে  সাজ।

রচনাকাল- ৬ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং, ২২:১০ মি. নিতাইনগর-হাইলাকান্দি। 

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভালো থেকো তুমি

.               ভালো থেকো তুমি
.             রফিক উদ্দিন লস্কর 
ভালো থেকো তুমি তোমার ভালোবাসা নিয়ে 
চলে যেতে পারো সকল দুঃখ আমায় দিয়ে। 
মান অভিমান হাতের মুঠোয় খাঁচায় বন্দী রাগ
বুক পেতে আমি নিতে পারি দুঃখের শতভাগ। 
একটি সালের আবেগ মূর্চ্ছনা সুখের সংগীত 
উতল হাওয়ায় ওড়াই ঘুড়ি চাইনা হার-জিত। 
আমার আমিতে শুধুই পড়ে রই মরার মতো,
বেদনার ভারে নুয়ে পড়ি হৃদয়টা ক্ষতবিক্ষত।
বিরহ গাঁথায় অশ্রু ঝরে অশান্ত মনের কোণে 
প্রেমহীন জীবনের শ্বাশতবাণী কে আর শোনে!
আপনভাজন দেয় পিছুটান শীতের কুহেলিকা 
স্তব্ধ মনে জ্বলেনা এখন বিজয়ের দীপশিখা।
আগামীর পানে পথচলা হোক অতীত ভুলে,
স্বপ্নের শহর সাজায় বাসর ডাকে দুহাত তুলে।
আয় চলে আয় আয়রে নবীন খুলে রেখেছি দ্বার,
আপন করে রাখবো ধরে যেতে দেবো না আর!

রচনাকাল- ৩১ডিসেম্বর ২০২৪ইং, ২১:০৫ মি. নিতাইনগর -হাইলাকান্দি।


রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতের রাতে

শীতের রাতে
রফিক উদ্দিন লস্কর 

শীতের রাতে গরম লেপে
কতো আরাম পাই
বিছানা মাঝে মনের সুখে 
ঘুমের দেশে যাই।।

স্বপ্নরা আসে ডানা মেলে
চোখের কিনারায়,
লাল নীল ও হলুদ যেমন
প্রজাপতির ডানায়।

রচনাকাল: ২৯ডিসেম্বর২০২৪ ইং, ২২:২৩মি.
নিতাইনগর-হাইলাকান্দি।। 

বানবাসীর জীবন

বানবাসীর জীবন  রফিক উদ্দিন লস্কর  এই ক'দিনের অতিবৃষ্টি  বন্যা দেখা দিলো, গ্রামগঞ্জের সবার মুখের হাসি কেড়ে নিলো। রাস্তাঘাট আর বসতভিটা  পা...